আজ স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন তো? না করলে এখনই করে ফেলুন। কেননা আজ যে স্ত্রীর প্রশংসা করার দিন। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রোববার বিশ্বে স্ত্রী প্রশংসা দিবস পালন করা হয়। আমেরিকা সহ অনেক দেশেই দিবসটি অনানুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হলেও এর রয়েছে অন্যরকম গুরুত্ব।এমন দিনে তাই স্ত্রীর বিশেষ সুনাম করুন, তাকে প্রশংসায় ভাসান। তাতে অন্তত আপনার দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠতে পারে আরও মধুময়।
যাদের স্ত্রী আছে, তারা ভাগ্যবানই বটে। অন্তত খারাপ সময়ে কাছে পাওয়ার মতো সঙ্গী তো আছে তাদের। স্ত্রীরা আমাদের একটা লক্ষ্যে স্থির রাখতে সাহায্য করে। তারা আমাদের কঠোর পরিশ্রমের অনুপ্রেরণা। শুধু তাই নয়, আপনি সারাদিন শ্রম দিয়ে রাতে যখন বাসায় ফেরেন, তখন আপনার জন্য এক পশলা স্বস্তির নিঃশ্বাস বয়ে আনে ওই স্ত্রী।
সারা বছর যেমনই কাটুক, এ দিনটায় আপনার স্ত্রীকে অন্যদিকের চেয়ে একটু বেশি সময় দিন। স্ত্রীর জন্য একগুচ্ছ গোলাপ বা তার ভালোলাগার ফুল নিয়ে তার সামনে হাজির হতে পারেন। সম্ভব হলে তার পছন্দের খাবার রান্না করে পরিবেশন করুন। তাকে নিয়ে ঘুরতে অথবা শপিং করতে বের হন। এ ছাড়াও স্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে তাকে নিতে পারেন লং ড্রাইভে, পছন্দের কোনো জায়গায়।
আপনার দাম্পত্য জীবন যতদিনেরই হোক না কেন, স্ত্রী সবসময়ই গুণগান শুনতে ভালোবাসে। তাতে যেমন সংসার চালাতে বাড়তি স্পৃহা জন্মে তার মধ্যে, তেমনি আপনার প্রতি বাড়তে থাকবে ভালোবাসা। অনেকে মনে করেন, বিয়ে হয়েছে অনেক বছর এখন আর ভালোবাসার কথা প্রকাশ করে কোনো লাভ আছে? আছে, লাভ আছে। প্রকাশ করে দেখুন না। এত কষ্ট করে সংসার চালানো মানুষটাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে দেখেন না। তাহলে দেখবেন দাম্পত্য জীবন আরও সুখের হয়ে উঠবে।
অনেকের মতে, ঘরের সব কাজ নারীরাই করবে। পুরুষরা শুধু টাকা উপার্জন করবে। এ ধারনাও সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। সংসার ভালো করে চালাতে গেলে দুজনকেই রাখতে হবে সমান অবদান। তবে পারিপার্শ্বিক কারণে সেটা যদি সম্ভব না হয়, তবে স্ত্রীকে সে জন্য মূল্যায়িত করুন। তার সামনে প্রকাশ করুন আপনি তার ওপর কতটা কৃতজ্ঞ।
এ ছাড়াও ঘরে ফিরে আপনি আপনার স্ত্রীর কাজে হাত লাগাতে পারেন। যেমন- বিছানা গোছানো, মশারি টাঙানো, থালা-বাসন গুছিয়ে রাখা, বাচ্চাদের পড়ানো, বোতলে পানি ভরা ইত্যাদি কাজ আপনি খুব সহজেই করতে পারেন। বিশেষ করে এই দিনে, আপনার সেগুলো করাই বাঞ্ছনীয়।